• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

আলু সংরক্ষণ ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আলু সংরক্ষণের ঘর নির্মাণে অভিযোগ উঠেছে। ঘর পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে প্রকল্পের পুরো টাকা। এছাড়া ঘরগুলো নিম্নমানের হওয়ায় আলু রাখতে পারছেন না কৃষকরা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঘরের বেড়া ও বাশের খুটি। ভেঙ্গে গেছে পাকা সিড়ি আর পিলার।

জানা গেছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অধীনে আলুর বহুমুখী ব্যবহার উন্নয়ন সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৬টি ও আদিতমারী উপজেলায় ৭টি আলু সংরক্ষণের ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটি ঘরে ৩০ জন কৃষক আলু সংরক্ষন করতে পারবে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তুশী এন্টারপ্রাইজ কিছু স্থানে ঘর এখনো নির্মান না করায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এমনকি কিছু ঘর পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে প্রকল্পের পুরো টাকা।

কৃষকদের অভিযোগ, ঘরগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। ফলে আলু রাখার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের বেড়া ও বাশের খুটি। ভেঙ্গে গেছে পাকা সিড়ি ও পিলার।

কৃষক হায়দার আলী জানান, ঘর নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ। দেখ ভালের দায়িত্বে কে আছেন আমরা কিছুই জানিনা। এমনকি সরকারি কোন কর্মকর্তারা এখানে ঘরের কাজগুলো দেখতে আসেননি। ঘর নিম্নমাণ হলেও কাউকে বলার বা অভিযোগের কোন সুযোগ নেই।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তুশী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শফি উদ্দিন বলেন, ঘরগুলোর যে সকল অংশ ত্রুটি বা ফাটল বলা হচ্ছে। সেটা আমরা কৃষকদের  একটু মেরামত করে নিতে বলেছি। সিমেন্ট আর বালু দিলেই ঠিক হয়ে যাবে।

মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট জেলা কৃষি বিপনণ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘরগুলো নির্মানের সময় বৃষ্টি বাদলের দিন থাকায় কাজে কিছুটা ত্রুটি হয়েছে।

আলুর বহুমূখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ঘরগুলো নির্মানের পর যে সকল অংশ ভেঙ্গে গেছে তা মেরামত করে দেবেন ঠিকাদার। এতে কোন অসুবিধা নেই।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, ঘরগুলো পরিদর্শন করে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads